কম্পিউটারকে সুরক্ষিত (secure) রাখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিচে দেওয়া হলো। এগুলো অনুসরণ করলে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস, ম্যালওয়্যার ও হ্যাকিং থেকে অনেকাংশে নিরাপদ থাকবে:
১. অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করুন
বিশ্বস্ত একটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করুন (যেমন: Windows Defender, Bitdefender, Kaspersky, Norton ইত্যাদি)।
নিয়মিত আপডেট রাখুন এবং সাপ্তাহিকভাবে স্ক্যান করুন।
২. অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপডেট রাখুন
Windows, macOS বা Linux হোক—সিস্টেমের সব আপডেট ইনস্টল করুন।
পুরনো বা অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টল করুন।
৩. নিরাপদ ব্রাউজিং প্র্যাকটিস করুন
সন্দেহজনক ও অজানা ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন না।
কোনো লিংকে ক্লিক করার আগে যাচাই করুন (বিশেষ করে ইমেইল ও সোশ্যাল মিডিয়ায়)।
ব্রাউজারে পপ-আপ ব্লকার ও এড-ব্লকার ব্যবহার করুন।
৪. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
পাসওয়ার্ড যেন হয় অন্তত ১২ অক্ষরের, বড় হাতের, ছোট হাতের, সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে।
একই পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করবেন না।
চাইলে Password Manager ব্যবহার করতে পারেন (যেমন: Bitwarden, LastPass, 1Password)।
৫. ফায়ারওয়াল সক্রিয় রাখুন
Windows-এর বিল্ট-ইন ফায়ারওয়াল বা থার্ড-পার্টি ফায়ারওয়াল ব্যবহার করুন।
এটি অননুমোদিত এক্সেস ব্লক করে।
৬. গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ রাখুন
একটি আলাদা হার্ডড্রাইভ বা ক্লাউড (যেমন Google Drive, Dropbox) এ নিয়মিত ব্যাকআপ রাখুন।
র্যানসমওয়্যার আক্রমণের পর ডেটা রিকভার করতে এই ব্যাকআপ দরকার হয়।
৭. অজানা USB বা ডিভাইস ব্যবহার করবেন না
অজানা পেনড্রাইভ বা হার্ডড্রাইভে ভাইরাস থাকতে পারে।
৮. সচেতন থাকুন
কারো কাছ থেকে ইমেইল বা ফাইল এলে আগে যাচাই করুন।
Social Engineering (যেমন ফোনে বা ইমেইলে প্রতারণা) থেকে সতর্ক থাকুন।
Windows-এর জন্য উপযোগী সুরক্ষা ব্যবস্থা ধাপে ধাপে দেওয়া হলো:
Windows কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখার উপায়:
১. Windows Security (Windows Defender) সক্রিয় রাখুন
Windows 10 এবং 11-এ Windows Security বিল্ট-ইন অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে কাজ করে:
যেভাবে চালু করবেন:
1. Start Menu → "Windows Security" লিখে সার্চ করুন।
2. Virus & threat protection → "Manage settings" → Real-time protection On করে দিন।
3. Weekly scan দিন → "Quick Scan" বা "Full Scan"।
২. সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপডেট রাখুন
Windows Update অন রাখুন:
1. Start → Settings → Windows Update
2. “Check for updates” ক্লিক করুন
3. স্বয়ংক্রিয় আপডেট অন রাখুন
৩. Firewall চালু আছে কি না, যাচাই করুন
যেভাবে চেক করবেন:
1. Control Panel → System and Security → Windows Defender Firewall
2. বাম পাশে “Turn Windows Defender Firewall on or off” ক্লিক করুন
3. সব সেটিংসে "Turn on" নির্বাচন করুন
৪. নিরাপদ ব্রাউজিং (Safe Browsing)
Microsoft Edge, Google Chrome বা Mozilla Firefox ব্যবহার করুন, কারণ এগুলোর ফিশিং প্রটেকশন আছে।
"Safe Browsing" বা "Enhanced Protection" অন রাখুন ব্রাউজার সেটিংসে।
৫. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
Windows Login এ পাসওয়ার্ড দিন
Start → Settings → Accounts → Sign-in options → Password/PIN সেট করুন
চাইলে 2-Factor Authentication (2FA) ব্যবহার করুন Microsoft Account-এ।
৬. Temp ফাইল ও Junk ক্লিন করুন
সিস্টেমে অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমলে স্পীড কমে এবং ঝুঁকি বাড়ে:
1. Windows + R → লিখুন: `cleanmgr`
2. Drive নির্বাচন করুন → OK → টিক দিয়ে “Clean up”
৭. ডেটা ব্যাকআপ রাখুন (Backup & Restore)
Start → Settings → Update & Security → Backup → Add a drive
অথবা OneDrive ব্যবহার করুন → ফাইল Sync করুন Cloud এ
৯. Task Manager দিয়ে সন্দেহজনক প্রসেস চেক করুন
Ctrl + Shift + Esc চাপুন
অজানা বা High CPU/Memory খরচ করা প্রসেস দেখে গুগলে সার্চ করে যাচাই করুন
Bonus
আপনি চাইলে একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করতে পারেন (Windows Defender যথেষ্ট হলেও অতিরিক্ত প্রোটেকশন দরকার হলে):
বিনামূল্যে: Avast, AVG, Bitdefender Free
পেইড: Bitdefender Total Security, Norton 360, Kaspersky